রাজশপুরের ছাড়াবাড়ি।। আননাদ মজুমদার।।

১।

সেদিন আকাশে চিরচেনা সুর, কুজনকোকিলা ধ্বনি

এতো আলো আছে, প্রজাপতি শুধু সেই ভাবে পলাতক

এতো আলো আছে, শৈবাল শুধু পানিতে জুড়ায় দেহ

এতো আঁধারের এতো যে বিষাদ, তাতে আছে কালো আলো

সারা দুনিয়া নূরেরই সিলসিলা, আলোই আঁধার কণা

বিভূতি ভূষণা ফণা পূর্ণিমা ছোবলেই সুশোভিত

রাজশপুরের ছাড়াবাড়ি জুড়ে নাগিনীর আস্তানা

হাওয়ায় গরম আলগা বাতাস দিওয়ানার পরোয়ানা

দামাল দুপর, মৌসুমী ফল, মুগ্ধ মুকুল লায়েক ফলে

গন্ধ বিরাজ ঘুম চাষীদের, ভাত ঘুমে আজ স্বপ্ন দোলে

২।

“লতায় লতায় প্রজাপতি, শণ ক্ষেতে ধায় মুগ্ধ বালক

বাঁশের ঝাড়ে বকের পালক কিংবা সারস নিজ বিভূতি

ছড়িয়ে গেছে পালক ফুলে;_ এই দুনিয়া সম্ভাবনা

অরুপ স্থিতি স্বরুপ সাধন করার ছলে, ও দিওয়ানা।।

সেই ফুলে এক জ্যোৎস্না এলো, এলো নবীন প্রজাপতি

একতারা ফুলে ফুলে সুর মায়াবতী, নয়নতারা দেখো ফুটেছে_”

বিশ্বাস বিভিন্ন ধারায়, দর্শন –ই পরম মিলায়, ভাবে উদয়

ঘর থেকে অপর ঘরে রুপান্তরের অধিবাসে পরম দেখা দেয়

একটি জবা বিধান হয়ে পদ্মপুরাণ , কিংবা আমের দুটি পাতা

আচারকর্মের বিচার থাকে, পরম পাবার খাস নসিবে।।

৩।

পরির পাখায় এক ঝাঁক মেঘ উড়ে যায়, দিগন্তে দুলদুল

মরু সীমানায় উদিত নূরের রেখা, মুছে যায় সব মানচিত্রের ভুল

ধাতব পাখার উড়াউড়ি দেখে পাখিরা সংঘবদ্ধ, জীবন মানে না জুলুম

দিওয়ানা মেঘের বজ্রবিভূতি, সম্ভাবনার সবুজ পাখি পোষে সব মজলুম

আসমান ও আকাশের ভেদ জানেন সময় স্রষ্টা, উদয়ন কাল আচক্র নিঃশ্বাসে

বরষা বিভোর অশ্রু আকুল মানুষের কথা বলি, শুভ বিদায়ের ক্ষণ আসে অবশেষে_

বিদায় বিধূর সময় এখন বিধ্বস্ত জনপদে, তবু মজলুম সবুজ পাখির ডানায়

অদৃশ্যের শোভা! এ কী ইশতেহার! কী অপরুপ ! আসমানী আলপনায়

বিদায়বাণী খচিত বাক্যে জীবনের ইশতেহার, অবিনাশী সেই প্রথম গানের কলি

এক ঝাঁক মেঘ অচেনা তো নয়, এমন ছায়ার কথা, শুনেছে সবাই, তবুও আবার বলি

৪।

পদ্মা , ক্ষুরধার স্রোত, স্রোতের মতোই ক্ষুরধার হাইসা, ছেণী_

যমুনা, নাচুনীর তালে তালে বিস্তারিত বহুধা স্রোত, নাচের তালে তালে ডিজুস

৫।

নিশিকাতর চোখের ভেতর দহনদিব্য রাত, তুমি যে আজ রক্তে ভ্রমণ করো

কিসের অজুহাত! ভাঙা কুলায় মেঘের দানা ঝাড়ছো অকস্মাৎ_

সঙ্ঘজীবি গুরু তুমি অসঙ্ঘকে করো ত্যাগ। আজ মেঘ মিনারে পাখির কুজনকাল

ভাবের লতা লকলকিয়ে অগ্রগামী, পুঁইপ্রকাশে ডগমগ, এমন সবুজ সৃজনকাতর ভীষণ!