কালের পরিক্রমায় পৃথিবীতে বহু মহামানবের আবির্ভাব ঘটেছে। তাদের মধ্যে কেউ হয়ে আছেন অবিস্মরণীয়। চিরকাল মা-মাটি, দেশ ও জাতির হৃদয়ে নিরবে-নিভৃতে জায়গা দখল করে আছেন । এমনই একজন মহামানবের এ দেশে আগমন ঘটে ১৯২০ সালের ২০ মার্চ গোপালগঞ্জের টঙ্গিপাড়ায়। শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুনের ঘরে জন্ম নেন খোকা নামের একজন শিশু। সেই খোকা নামের শিশুটি হয়ে উঠেন একটি পরিপূর্ণ মহামানবে। আর তিনি’ই হলেন- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাংলা মায়ের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজারও নিপীড়ন, নির্যাতন, জুলুম অত্যাচার পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ স্বাধীনতার ডাক দেন। তাঁর ডাকে সাঁড়া দিয়ে সাড়ে সাত কোটি বাঙালী স্বাধীনতার মহান মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রাণিত হয়। ৭১’র ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ নয় মাস অক্লান্ত যুদ্ধে ৩০ লাখ তাজা প্রাণের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ পাই। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মহানায়ক হয়ে উঠেন এবং বিশ্বের শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের প্রাণপুরুষ হিসেবে জায়গা দখল করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- বঙ্গবন্ধু দেশের দায়িত্বভার তুলে নেওয়ার প্রায় ৪ বছরের মাথায় বাঙালীর জন্য একটি কালো অধ্যায় নেমে আসে। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বিশ্বের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে সেই একাত্তরের পরাজিত শক্তি। যারা এ দেশে জন্ম নিয়েও দেশের মঙ্গল চাইনি। তৎকালীন কিছু সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নীলনকশার শিকার হোন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার। একদিকে মোয়াজ্জিনের ফজরের আযান প্রতিধ্বনিত্ব হচ্ছিলো, ঠিক তখনই কালো মুখোশ ধারী বিপৎগামী একদল ঘাতক বঙ্গবন্ধুর বুকে বৃষ্টির মতো অঝরে গুলি চালায়! এযেন গুলি চালায়-বাংলাদেশের মানচিত্রে, গুলি চালায় সাড়ে সাত কোটি বাঙালীর বুকে! আমরা হারাই আমাদের অস্তিত্বকে, আমাদের রাষ্ট্রনায়ককে। নেমে আসে কালো ছায়া, কালো অধ্যায়, কলঙ্ক! সেইদিন তারা ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলকেও রেহায় দেয়নি। শেখ রাসেল সেদিন তাদের বলেছিল, “তোমরা আমায় মেরো না, আমি আর এদেশে থাকবো না। আমি অন্যত্র চলে যাবো”…. সেদিন তাঁর এমন আকুতিতে কেঁদেছিল- বৃক্ষ-লতা, পক্ষীকূল, আকাশ-বাতাস। তবুও বিন্দু পরিমাণ মায়া হয়নি সেই ঘাতকদের হৃদয়ে। সেসময় দেশের বাইরে থাকায় আল্লাহ তা’লার অশেষ কৃপায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। কিন্তু আগস্ট আমাদের জন্য বিপদজনক, আমাদের ভীতি। এ মাস আসলেই যত ষড়যন্ত্র বেড়ে যায়। তাই আমার লেখা একটি কবিতা তুলে ধরছি- “আগষ্ট তুমি ভয়াবহ, কলঙ্ক আর অপমান তোমার মাঝেই হারিয়েছি বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাণ। ভোররাতে ঘাতক দল, ঢুকে জনকের বাসায় হত্যা করে সপরিবার কাউকে দেয়নি রেহাই। মুজিবকে যারা হত্যা করে নিস্তব্ধ করেছে দেশ তারাও আজ রক্ষা পায়নি ফাঁসিতে ঝুলেছে বেশ। মুজিব তুমি জাতির জনক তোমার নাইতো মরণ বেঁচে আছো সবার মাঝে হয়ে চির অবিস্মরণ ” শোক হোক শক্তি। এ স্লোগানে বিশ্বাস করে নতুন প্রজন্ম এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তাঁর আদর্শকে হত্যার চেষ্টা করা হলেও বর্তমানে বাংলাদেশ জেগে উঠেছে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের হাত ধরে। জাতির জনকের আদর্শকে বুকে লালনের মাধ্যমে। তাঁর আদর্শ বেঁচে আছে কোটি মানুষের হৃদয়ে। আর তাই তাঁর প্রতি বিশ্বাস রেখে শোককে শক্তিতে রুপান্তর করে তাঁর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরই কন্যা মাদার অফ হিউম্যানিটি, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, ডিজিটাল বাংলাদেশের নির্মাতা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর পরশে এদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা একটি উন্নয়নশীল ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, শতভাগ শিক্ষিত ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এ কাজে মেধা, শ্রম দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যার স্বপ্নের সারথি হিসেবে কাজ করছে এই তরুণ প্রজন্ম। তাদের স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ প্রতিষ্ঠার। যে বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে অন্যায়, অবিচার, শোষণ, বঞ্চনা-লাঞ্চনা, সাম্প্রদায়িকতা ও স্বর্থপরতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন, সেটিকে মনে প্রাণে ধারণ করে প্রাত্যাহিক জীবনে প্রয়োগ করা এই প্রজন্মের প্রত্যেকের কর্তব্য। আর তরুণ হিসেবে আমাদের মতো জাতির কাছে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা হলো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধু’ই আমাদের একমাত্র সাহস ও অনুপ্রেরক । যতদিন পৃথিবীর বুকে এই বাংলাদেশ এবং বাঙালি থাকবে ততদিন থাকবে এই মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব ইতিহাস। আর তাই এ ইতিহাস বুকে লালন করে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তরুণ প্রজন্মকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখে নাই, তারাই এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিজের চোখে দেখার সুভাগ্য হচ্ছে। আজকের তরুণরা পাচ্ছে সত্যিকারের পরামর্শ। তাদের সামনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। বঙ্গবন্ধুর আহ্বান আজও কানে প্রতিধ্বনিত হয়। বঙ্গবন্ধু তরুণদের বলেছিলেন, “তোমরা সোনার মানুষ হয়ে ওঠো” এই চেতনায় তরুণ প্রজন্মের সাথে বঙ্গবন্ধু মিশে আছেন। বঙ্গবন্ধুর যে সংগ্রামমুখর জীবন, অসীম সাহসিকতা, অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলি, প্রজ্ঞা আর দূরদর্শিতা, মানুষকে ভালোবাসার ও প্রসারতা দেখিয়েছেন, তা থেকে দীক্ষা নিচ্ছে আমাদের তরুণরা। আমাদের সামনে এত বড় উদাহরণ বিশ্বে বিরল। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের আদর্শে। এই এগিয়ে চলা উজ্জীবিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস থেকে। সেখানে প্রজ্জ্বলিত হচ্ছে তাঁর আদর্শ। তাঁর স্বপ্ন। তার পুরোটাজুড়ে আছে সোনার মানুষ হওয়ার আহ্বান।

বৈশ্বিক সূত্রমতে, পৃথিবীর জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ হচ্ছে তরুণ। আর বাংলাদেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর ৩৫ ভাগ হচ্ছে তরুণ। অর্থাৎ ৪ কোটি মানুষ এখন ১৫-২৯ বয়সের মধ্যে। এই বিশ্ব এখন তরুণদেরই হাতে। কোনো কিছু অর্জনে তরুণদের সম্পৃক্ততা যেমন অপরিহার্য তেমনি তরুণরাই হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এএসডিজি)-এর অংশীজন। তাদের গড়ে তুলতে পারলেই আমাদের যে সকল রূপরেখা আছে আমরা অবলীলায় তা ছুঁতে পারব। পরিসংখ্যান তথ্যমতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুবক। আর ১৭টি এএসডিজির ১০টিই তরুণ/যুবকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অপরদিকে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ। এসডিজি অর্জনের কথা এলেই আমাদের বিবেচনায় প্রথম আসবে তরুণরা। তরুণদের জ্ঞান, উদ্ভাবন ও উদ্দীপনার সঠিক ব্যবহার আমাদের পৌঁছে দিতে পারে কাঙ্খিত লক্ষ্যে। তরুণরাই হচ্ছে উন্নয়নের প্রধান চালিকা। তারাই এসডিজির প্রধান সুবিধাভোগী। তারাই এসডিজি লালনের প্রধান অংশীজন। শিক্ষা থেকে যে কোনো স্তরে ঝরে পড়া, শিক্ষিত, অল্প শিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত এবং শিক্ষিত তাদের কর্ম উপযোগী করাই এখন মূল কাজ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন দ্রুত উন্নয়নের পথযাত্রায় লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের যে রূপকল্প, ২০২০-এ ডিজিটাল বাংলাদেশ, ২০২৪-এ টেকসই মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উত্তরণ, ২০৩০ সালের মধ্যে এএসডিজি অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১-এর মধ্যে উন্নত দেশ হিসেব আবির্ভূত হওয়ার পথে। ২০২৩ সালের মধ্যে দেড় কোটি তরুণের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে সরকারের রাজনৈতিক ইশতেহারে। এসব লক্ষ্য ব্যাহত হয়েছে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে। বঙ্গবন্ধুর সোনার মানুষ এ কর্মমুখী মানুষ হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে। বঙ্গবন্ধু যে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বারবার বলে গিয়েছেন আজ আমরা সেই মুক্তি অর্জনের পথে। বঙ্গবন্ধু প্রায় বক্তব্যে বলতেন, দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে বেকার সমস্যা দূর করতে হবে। একটি দেশের সমস্যা ও সম্ভাবনা দুটোই তরুণ সমাজের ওপর নির্ভর করে। তরুণরা বেকার থাকলে তারা বিপদগ্রস্ত হয়। দেশের জন্য তারা ক্ষতিকর বোঝায় পরিণত হয়। তারা হারাতে থাকে ক্রমশ তাদের নৈতিকতা, কর্মস্পৃহা, উদ্যম ও সম্ভাবনা। বিপথে যেতে পারে তার জীবনযাপন। এ থেকেই ব্যাহত হবে সোনার মানুষ হয়ে ওঠার সুযোগ।তাই আমাদের আগে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে হবে। নেলসন ম্যান্ডেলা ইংরেজিতে একটি উক্তি বলেছেন, “Education is the most powerful weapon which you can use to change the world.” – Nelson Mandela “শিক্ষা হল সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র যা আপনি বিশ্বকে পরিবর্তন করতে ব্যবহার করতে পারেন” তাই আমাদের স্ব-শিক্ষায় প্রকৃত মানুষ হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে এবং যা কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে- ১। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে মেধার সমন্বয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। ২। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে বেকার থাকার চেয়ে কারিগরি শিক্ষা অথবা দক্ষতা প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে তৈরি থাকতে হবে কর্মসংস্থানে যাওয়ার জন্য উদ্যোক্তা হতে হবে। ৩। উচ্চশিক্ষার প্রতি অন্ধ বিশ্বাস পরিহার করে সামাজিক বন্ধ্যত্ব ভেঙে কর্ম উপযোগী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ৪। ডিজিটাল বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে ঘরে বসে দেশ-বিদেশ কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। ৫। প্রতিযোগিতামূলক এই বিশ্বে টিকে থাকতে হলে তাল মিলিয়ে দক্ষ প্রশিক্ষণ নিতে হবে, যেসব বিষয়ে বৈশ্বিক চাহিদা তৈরি হয়েছে। ৬। যুবকদের চিন্তা করতে হবে- ব্যবসাবাণিজ্য, শিল্পায়নে, করপোরেট অফিসে এখন প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটছে। তাই চাকরিতে আনতে হবে পরিবর্তন। ৭। তরুণদের উদ্ভাবনী ও মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। ৮। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিজেকে অংশীদারি করতে হবে। ৯। নিজেকে মূল্যবান করে তুলতে হবে। তবেই বাজারের চাহিদা ও জোগানের সমন্বয় ঘটবে। বেকারত্ব ঘুচে যাবে। ১০। কৃষি উদ্যোগা বাড়িয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। ১১। ব্যক্তির ও শিল্পের উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। ১২। উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তরুণদেরই কাজ করতে হবে সবার আগে। তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগালেই- এদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, শতভাগ শিক্ষিত, উন্নয়নশীল একটি বাংলাদেশ। তরুণদের হাত ধরেই বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার দেশ এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ। তারুণ্যের অগ্রযাত্রায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের মহাসড়কে….. তাই আমাদের স্লোগান- “দক্ষ তরুণ গড়ছে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ”। তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

(লেখক, সাংবাদিক ও নাট্যাভিনেতা)