আমাদের কৃষি ভাবনা খাদ্য ও কৃষির গুরুত্ব বোঝাতে সবুজ বিপ্লবের জনক নোবেলজয়ী অধ্যাপক নরম্যান বোরলাগ (Norman Ernest Borlaug) বলেছিলেন- “ক্ষুধা নিঃসন্দেহে উন্নয়ন ও শান্তির অন্যতম বাধা”। অনুরূপ উক্তি করেছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী লর্ড জন বয়ড “ক্ষুধার্ত পেটে তুমি কখনো শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না”। দেশের জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান কম হলেও বাংলাদেশের গ্রামীন সমাজের প্রায় ৭০ শতাংশ লোক কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল।

আর কৃষি উৎপাদনের উপর নির্ভর করছে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা। কৃষিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ আশংকাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। ফলে মাটি অনুর্বর ও প্রাণহীন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বৃদ্ধি পেয়েছে রাসায়নিক স্যার ব্যবহারের মাত্রা। এছাড়া উর্বর মাটি কিংবা ফসলি জমি ভরাট করে চলছে বসতি নির্মাণ। কৃষি জমিতে ব্যবহারিত কীটনাশকগুলো কীভাবে জমির জন্য সহায়ক এবং পরিবেশের ক্ষতিও করবে কম আমাদের এখন ভাবার সময় এসেছে এরকম কিছু উদ্ভাবন করার।

নতুন কিছু উদ্ভাবন ব্যতিরেকে কৃষি জমির উর্বরতা ফিরিয়ে আনা ছাড়া আমাদের বিকল্প কিছু ভাবার সুযোগ এখন আর নেই। পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য অংশগ্রহণমূলক গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা (প্র্যাস) আদি পেশা কৃষি কাজের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে যোগাযোগ রেখে চাষাবাস শুরু করেছে। নাম দিয়েছে সর্বপ্রাণের কৃষি। পরিবেশ, প্রতিবেশ, প্রকৃতি ও প্রাণের সুরক্ষায় কাজ করছে এই সর্বপ্রাণের কৃষি। আমাদের জেলাশহর জামালপুরে হিসেব করলে বের হয়ে আসবে ৭০ এরও বেশি ফাস্টফুডের দোকান। আর সেইসব ফাস্টফুডের দোকানে যা ব্যবহৃত হয় তা মরা। সম্প্রতি প্রত্যক্ষ করেছি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা এবং টেলিভিশনের পর্দায়।

নিরাপদ খাদ্য ছাড়া আমাদের প্রজন্ম এবং পরবর্তী প্রজন্ম কেউই সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে জীবন চালনা করতে পারবো না। তাই সর্বপ্রাণের কৃষি প্রাথমিকভাবে যোগাযোগ করেছে সেরকম কিছু ফাস্টফুড দোকানের সাথে। যেখানে আমরা সরবরাহ করবো একদম প্রাকৃতিক এবং সতেজ কৃষিপণ্য। একটু সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার রক্ষায় আমরা বদ্ধ পরিকর।