দেশে কর্মমুখী শিক্ষার অভাবে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। কারিগরি ও বিশেষায়িত শিক্ষায় যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের চাকরির বাজারে ভালো চাহিদা আছে। কিন্তু চাহিদানুযায়ী দক্ষ জনবল সরবরাহে আমাদের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থা যথোপযুক্ত ভূমিকা রাখতে পারছে না। ফলে আমাদের দেশের শিক্ষিত বেকারগণ ব্যর্থতা ও হতাশায় আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক সময় চেষ্টা ও সংগ্রামে বিফল হয়ে ধ্বংসাত্মক কাজে আত্মনিয়োগ করছে, যা কেবল তার নিজের বা পরিবারের জন্য নয়, গোটা সমাজের জন্য হয়ে উঠছে ভয়ঙ্কর। এমতাবস্থায় করণীয় হচ্ছে, এ সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় বের করা।

আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা –
কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার অভিযান, আত্মকর্মসংস্থান। কারিগরি শিক্ষাগ্রহণ কর, নিজের কর্মসংস্থান নিজেই গড়। কর্মমুখী শিক্ষা শিক্ষার্থীর পরবর্তী জীবনে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সহায়তা করে। এর ফলে শিক্ষার্থীকে বেকারত্বের অভিশাপ বহণ করতে হয় না। এ শিক্ষা শিক্ষার্থীদের ঘরের কাজ থেকে শুরু করে বাইরে খেতে-খামারে, শিল্প-কারখানায় এবং সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বিনা সংকোচে অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করে। বেকার থাকলে সমাজ দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে না। কেননা ‘Employment is a major tool for poverty reduction.