প্রযুক্তির ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার জন্য প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকাটা/রাখাটা কোন যৌক্তিক সমাধান নয়। প্রয়োজন যুক্তির সাথে প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন।
অনেকেই শিশুদেরকে ফোন, ট্যাব ইত্যাকার গ্যাজেটসগুলোতো বটেই সাথে কম্পিউটার, ইন্টারনেট থেকেও শত হাত দূরে রাখার পক্ষপাতি। ভাবখানা এমন যে, এগুলো কেবলই শিশুদের কেবল ক্ষতিই করে, কোন কাজে আসে না আসতে পারেও না। প্রযুক্তি নিয়ে এমন ভীতি (কুসংস্কারও বলা যেতে পারে) সত্যিই ভয়ের কারণ। সমস্যাটা কোথায়? সমস্যাটা কি শিশুদের মধ্যে না বড়দের মধ্যে?? বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ভাবার সময় এসে গেছে।
আসলে সমস্যা প্রযুক্তি নিয়ে নয়, সমস্যাটা হলো প্রযুক্তি ব্যবহারের ধরণ নিয়ে, সোজা কথায় বল্লে, ব্যবহারকারীর ‘খাসিলত’ নিয়ে। যে কোন বিষয় যখন আমরা অসচেতনভাবে, নেশার মত করতে থাকি, তাতে আসক্ত হয়ে যাই, তখনই সেটা খারাপ ফল বয়ে নিয়ে আসে তা সে জিনিষটা যত ভালোই হোক না কেন।
শিশুরা সাধারণত বড়দের কাছ থেকে শিখে। আমরা বড়রা প্রযুক্তি সম্পর্কে কতটা সচেতন, স্বাক্ষর বা কতটা সচেতনভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করি? হোক সেটা কোন ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট, ইন্টারনেট বা সোস্যাল মিডিয়া। আমাদের হাতের এত সক্ষমতার মোবাইল ফোন সেটগুলো আমরা কি কি কাজে লাগাই? আমরা নিজেরা কি আসক্তের মত সোস্যাল‍ মিডিয়ায় পড়ে থাকি না? অথচ এই আমরাই চাই. শিশু বড় হয়ে জিনিয়াস হোক, বিশ্বজয় করুক !!!!!!
শিশুকে সুরক্ষা দিতে হলে আগে বড়দেরকে প্রযুক্তি ব্যবহার করা শিখতে হবে। আপনার ফোন সেটের চেয়ে আপনাকে আর একটু বেশী স্মার্ট হতে হবে। নতুবা আপনার শিশু আপনার চেয়ে আপনার ফোনসেট কিংবা ল্যাপটপ দ্বারাই বেশী প্রভাবিত হবে।
আর জিনিয়াস যদি চান তাহলে আপনাকে দেখে শিশুকে শিখতে দিন আসক্ত না হয়ে কিভাবে স্মার্টলি প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হয়। তারপর ইন্টারনেট কানেকশনসহ একটা পিসি দিয়ে দেন, শিখিয়ে দেন কিভাবে youtube বা google থেকে শিখতে হয়। একমত না হতে পারলে অপেক্ষায় থাকুন…. আমার পাঠশারা সে পথেই হাঁটছে….

খরকা নিউজ- মোসলেমাবাদ, মাদারগঞ্জ, জামালপুর